সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনার বটিয়াঘাটার ম্যাগনেট ব্যবসায়ী খিলাফতের আমলনাম - পর্ব- ১

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শুক্রবার, এপ্রিল ১২, ২০২৪

খুলনার বটিয়াঘাটার ম্যাগনেট ব্যবসায়ী খিলাফতের আমলনাম -  পর্ব- ১
আবু হেনা মুক্তি 
ম্যাগনেট বা সীমানা পিলার সিন্ডিকেটের গডফাদার খিলাফত ওরফে খিলা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। সুঠোম দেহের অধিকারী শ্যামলা বরণ খিলাফত কয়েক বছর আগেও মাছ চোরের খেতাব নিয়ে এলাকায় বসবাস করলেও অপরাধ জগতের আন্ডারওয়ার্ল্ড নেতা হওয়ার পর থেকে ফুলে ফেঁপে এখন সে কোটিপতি। 
চট্টগ্রাম কক্সবাজার ঢাকা কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অতি মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীদেরকে খুলনার বটিয়াঘাটা অঞ্চলে এনে ম্যাগনেট দিয়ে হাজার কোটি টাকার মালিক বানানোর আশ্বাসেরমাধ্যমে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। সীমানা পিলার বা ম্যাগনেট বিশেষ কায়দায় তৈরি করে মাটির নিচে পুতে রাখে। এরপর এসব পার্টিদের বলে আমরা মাটি কাটার সময় এই ম্যাগনেট পেয়েছি। সীমানা পিলার বা ম্যাগনেট ভাঙার জন্য তারা খুলনার হোটেলে এসে অবস্থান করে। এরপর চলে দাম কষাকষি,চলে বিভিন্ন নাটক। এক পর্যায়ে তারা প্রথম ঐ সীমানা পিলারটি ভেঙে দেখে এটা হুবহু ব্রিটিশ আমলের সেই সীমানা পিলার। কিন্তু সেটি হচ্ছে নকল সীমানা পিলার। তারপর বিভিন্ন ছলাকলা দিয়ে এসব পার্টির কাছ থেকে এক থেকে দেড় কোটি কিম্বা ক্ষেত্র বিশেষ ২ কোটি বা তারও বেশি টাকা কাটিং করে। অনেক সময় এসব ব্যবসায়ীরা তাদের পুঁজি সর্বস্ব খাইয়ে থানায় অভিযোগ করে। এ ধরনের ভুরি ভুরি অভিযোগ থানা সহ পুলিশ সুপারের কাছে রয়েছে। 

কে এই খেলাফতঃ
খুলনার বটিয়াঘাটার এই খিলাফত গত দশ বছর আগে মাছ চোর নামে আখ্যায়িত ছিল। এ মূলত মাটি কেটে এবং ছেঁচড়া চুরির মাধ্যমে জীবন জীবিকা চালাত। তার সহযোগীরা হচ্ছে রবিউল ওরফে রবি,জাহিদ ও মাসুদ। 
ম্যাগনেট বেচাকেনার আড়ালে তার মূল ব্যবসা ইয়াবা এবং গাঁজা সাপলাই। ফলে যুবসমাজ দারুণভাবে বিপথগামী হচ্ছে। সম্প্রতি তার এক ক্ষুদ্র ডিলার বিরাটের খেয়াঘাট থেকে গ্রেপ্তার হয় পুলিশের কাছে ইয়াবা সহ। সেও তার গডফাদার হিসেবে খিলাফতের নাম বলে।খিলাফতের রয়েছে কয়েকজন অসাধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের সাথে গোপনযোগ সাজস। তাদেরকে সাপ্তাহিক এবং মাসিক টাকা দিয়ে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। চার বছর আগে এই খেলাফতের গোলপাতার ঘরে বসবাস করত। এখন তার লাক্সারি বিল্ডিং। খিলাফাত ইতোমধ্যে যে  সহায় সম্পদ করেছে তার কোন হিসাব ইনকাম ট্যাক্স ফাইলের নথিতে  উল্লেখ নেই বলে সূত্রটি জানায়। তার সহযোগী এবং প্রধান সিপাহী সেলাওয়ার জাহিদ খুলনায় বাংলো বাড়ি সহ ব্যাপক সম্পদের মালিক হয়েছে। নামে বেনামে রয়েছে কোটি কোটি টাকা। গত ৪-৫ বছরের ব্যবধানে তাদের উত্থানের উৎস কি তার অনুসন্ধান হলেই বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য । তাদের সম্পদের পরিমাণ এবং ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করে আইনের অওতায়  আনলেই বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল। এদের নাম পিতার নাম এবং গ্রামের নাম দিয়ে ইনকাম ট্যাক্স অফিসে তথ্য আনতে গেলে ব্যাপক অনুসন্ধানে জানা গেছে তাদের সম্পদ এবং অর্থের সাথে আয়কর রিটার্নের কোন মিল নাই। ফলে এ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে এই ডিপার্টমেন্টের কর্তা ব্যক্তি নিউজ ২৪ ঘন্টা কে জানান। 
ম্যাগনেট সীমানা পিলার এবং মাদকের কারণে যুব সমাজ আজ ধ্বংসের পথে। প্রতিনিয়ত ঝরে যাচ্ছে সম্ভাবনামায় তারুণ্য। দেশের ভবিষ্যৎ মেধা শক্তি নির্মূল এই সিন্ডিকেট এখন মরিয়া।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 
বিঃদ্রঃ আগামীকাল খেলাফত,  জাহিদ হাসান ও রবিউলের ছবি সহ বিস্তারিত রিপোর্ট ছাপা হবে।
0 Comments